জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো চারিত্রিক সাধুতা বা শুদ্ধতা অর্জন এবং দুর্নীতি দমনের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় একটি কৌশল-দলিল; যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক আইনকানুন ও বিধি-বিধানের সুষ্ঠু প্রয়োগ, পদ্ধতিগত সংস্কার ও উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলের চরিত্র নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীতব্য কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা
সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নে রাষ্ট্র ও তার প্রতিষ্ঠানসমূহে এবং সমাজে কার্যকরভাবে ন্যায় ও সততা প্রতিষ্ঠা ও প্রতিপালন, সফলতার সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সমন্বিত সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এছাড়া, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এর অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ অংশ হিসেবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ব্যতিত যেকোন দেশের ইপ্সিত উন্নয়ন লাভ করা বা ঐ উন্নয়ন টেকসই হওয়া সম্ভব নয়। শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ। প্রতিটি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী দপ্তর, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান - সকলের জন্যই শুদ্ধাচার-সুশাসন সমানভাবে প্রয়োজন। শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের জন্য সেবা প্রাপ্তি পদ্ধতি সহজ করা। সেবা সহজিকরণ হলে:
(ক) ব্যয় কমে
(খ) নাগরিক বা সেবা প্রাপ্ত ব্যক্তি সন্তুষ্টি লাভ করে
(গ) সময় সাশ্রয় হয়
(ঘ) সেবার মান বাড়ে, এবং
(ঙ) দূর্নীতির সুযোগ হ্রাস পায়
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS